বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডই দ্রুত বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করবে। এ সব কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। চায়নার ‘The Belt and Road Initiate’ উদ্যোগটি এ বিনিয়োগের একটি প্লাটফরম হতে পরে। অবশ্য এ উদ্যোগটি জাপান, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশকেই বাংলাদেশের দিকে আকৃষ্ট করছে।
প্রতিমন্ত্রী চায়নার ডালিয়ানে World Economic Forum –এর “The Future of the Belt and Road Initiative” শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন। তিনি বলেন চীনের এ উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য ভালো। তবে একশন প্ল্যান, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সাংস্কৃতিক একত্রতা, স্বচ্ছতা ও যথাযথ প্রচার এ উদ্যোগকে আরো বাস্তবমূখী করবে। জাপান বাংলাদেশে শুধু বিদ্যুৎ খাতের একটি প্রকল্পে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পূর্বে বিদ্যুৎ খাতের মাস্টার প্ল্যান করে ছিল। চীনও দৃশ্যমান এসব একশন প্ল্যান নিয়ে এগুতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে চীনের বিনিয়োগে প্রচুর সুযোগ রয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ নানাখাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে চীনা ইসিএ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প রয়েছে ৫টি, যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬টি, বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ৩১টি প্রকল্প/কাজের সাথে চীনা ঠিকাদার নিয়োজিত রয়েছে এবং চীন সরকারের সাথে জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রস্তাবিত প্রকল্পের সংখ্যা ৭টি যার মধ্যে ২টি অনুমোদিত।
চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক (সিজিটিএন)-এর তাইয়ন উই (Tian Wei)-এর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় চায়না রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফেলো ব্রোনো মাকাস (Bruno Macaes) চায়না জাতীয় বিল্ডিং মেটেরিয়াল গ্রুপ এর চেয়ারম্যান সং ঝিপিং (Song Zhiping) ও জতিসংঘের ইউরোপ বিষয়ক অর্থনৈতিক কমিশনের নির্বাহী সচিব ওলগা আলগায়েরোভা (Olga Algayerova) বক্তব্য রাখেন।